দক্ষিণ চট্টলা ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্য ও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ রোববার দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
তবে করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি থেকে সবাই বিরত থাকেন।
এছাড়াও নামাজ শেষে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে মোনাজাত করে দোয়া করা হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতর উদযাপনের খবর জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নারায়ণগঞ্জে ঈদের নামাজের জামাত
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল পৌনে ১০টায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে হযরত শাহ্ সুফী মমতাজিয়া এতিমখানা ও হেফজখানা মাদ্রাসায় ‘জাহাগিরিয়া তরিকার’ অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করে।
ঈদের জামাতের ইমামের দায়িত্ব পালন করেন হযরত শাহ্ সুফী মমতাজিয়া মাদ্রাসার হাফেজ মাওলানা আলাউদ্দিন।
নামাজ শেষে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে মোনাজাত করে দোয়া করা হয়।
তবে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে একে অপরের সাথে কোলাকুলি থেকে সবাই বিরত থাকেন। নামাজ শেষে একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
প্রতি বছরের মত এবারও ঈদের জামাতে অংশ নিতে গাজীপুরের টঙ্গী, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, পুরাতন ঢাকা, ডেমরা, সাভার এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ,বন্দর ও সোনারগাঁ উপজেলা থেকে মুসল্লিরা অংশ নেয়।
বরিশালে আগাম ঈদ উদযাপন
বরিশাল জেলার কয়েক হাজার মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করছেন। তারা সবাই চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার এলাহাবাদ দরবার শরীফের অনুসারী।
এবার করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে সুরক্ষা ও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তারা ঈদ উদ্যাপন করছেন ।
নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠি এলাকার হাজিবাড়ি জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা দেলোয়ার হোসেন নামাজে ইমামতি করেন।
নামাজ শেষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা এক অপরের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
চট্টগ্রামের অর্ধশত গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর
মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
রোববার চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, পটিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার অর্ধ শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।
মূলত সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল দরবার শরীফ ও চন্দনাইশ উপজেলার মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সাথে সঙ্গতি রেখে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে প্রতিবছর ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন করেন।
এদিকে সকাল দশটায় সাতকানিয়া মির্জারখীল দরবার শরীফে দুটি ঈদ জামাতে ইমামতি করেন যথাক্রমে মাওলানা আব্দুল হামিদ শাহ ও মাওলানা মকসুদুর রহমান। অন্যদিকে চন্দনাইশের দরবার শরীফে ঈদ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
মির্জারখীল দরবার শরীফের পীর মাওলানা আবদুর রহমান জয়নাল বলেন, হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে প্রতিবছর সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতরও ঈদুল আজহার উদযাপন করি। এবারো সেই রীতি অনুযায়ী উদযাপন হচ্ছে। সকাল ১০টায় আমরা ঈদের নামায আদায় করেছি।
তবে এবার করোনাভাইরাসের কারণে লোকসমাগম কম হয়েছে। দরবারের পক্ষ থেকে দূরের ভক্তদের না আসার অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামায আদায় করা হয়েছে।
জানা গেছে, মির্জাখীল দরবারের সূফী সাধক মাওলানা মোখলেসুর রহমান প্রায় ২০০ বছর আগে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহার নামাজ পালন করার নিয়ম প্রর্বতন করেন। একইভাবে চন্দনাইশ উপজেলার মমতাজিয়া দরবার শরীফের পীর শাহছুফি সৈয়দ মোহাম্মদ আলীও একই রাীতি চালু করেন।
এখানে মন্তব্য করুন